নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের দপ্তরে অনিয়ম দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ দেয়ায় প্রাণনাশের হুমকিতে রয়েছে জুনাইদুল হক নামের এক ভুক্তভোগী। সর্বশেষ অভিযোগ দেয়ার ঘটনায় প্রতিবাদকারী জুনাইকে রাস্তায় গতিরোধ করে অপহরণের চেষ্ঠা করেছে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় গত ৭ মার্চ চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি জিডি দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জুনাইদুল হক। জিডিতে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ছাড়াও আরো সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
জিডির আর্জিতে সাহারবিল ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিনপাড়া গ্রামের মরহুম মৌলভী নুরুল কবিরের ছেলে জুনাইদুল হক দাবি করেন, সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের নিয়োগে অনিয়ম এবং বিদ্যালয়ের তহবিলের নানা অসঙ্গতির ঘটনায় তথ্য সমৃদ্ধ একটি অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য কমিটিও গঠন করেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
ভুক্তভোগী জুনাইদুল হক দাবি করেন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ২০১৯ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষে অভিযোগকারীর (জুনাইদুল হক) দুই ছেলেকে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন। দুই শিক্ষার্থী আগে থেকে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছিলেন। কিছুদিন আগে দুই শিক্ষার্থীকে কোন ধরণের কারণ দর্শানো ছাড়াই বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেন শিক্ষক নজরুল ইসলাম।
বাদি জুনাইদুল হক জিডিতে অভিযোগ তুলেছেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারী তাঁর শ^াশুড় বাড়ির নিকট আত্মীয় একজন শিক্ষক মারা গেলে তিনি জানাযা পড়তে যান। তিনি জানাযা শেষে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন রাস্তায় গতিরোধ করে তাকে অপহরণের চেষ্ঠা করেন। ওইসময় তাঁর শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।
পাঠকের মতামত: